সকল উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের নামে ক্রয়কৃত মোবাইলে নগদ হিসাব খোলার জন্য অনুরোধ করা হলো । বিষয়টি াতীব জরুরী ।

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

এইতো সেদিন ১৯৯৩ সাল, বড়বাড়ীয়া গ্রামের জনসাধারনের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা--গ্রামে একটা বালিকা বিদ্যালয় চাই । শুরু হল জল্পনা কল্পনা, সাথে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা । জনাব মোঃ আলমগীর হোসেন ও জনাব মোঃ সওকাত আলী ফকিরের বৈঠকে একতাবদ্ধ হলেন এই দুই বীরপুরুষ । যাদের প্রচেষ্টা ছিল অবর্ননীয় । সাথে প্রেরনা যুগিয়েছিলেন মোঃ নুরুল ইসলাম ফকির (খোকা ফকির) যার দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল বাড়ীর পার্শ্বে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। এছাড়া মুন্সী হায়াত আলী, নুরুল হালিম ,শচীন ঢালী নিত্যানন্দ সমাদ্দার সহ গ্রামের আপামর জনগন । চলল এবার স্থান নির্বাচনের পালা। নানা মুনির নানা মত শেষে ছায়া সুনিবিড়, শান্তির নীড় একটা মনোরম পরিবেশে বিদ্যালয়টি স্থাপনের নিমিত্তে এই স্থানটি নির্ধারিত হল। জনাব মোঃ আলমগীর হোসেন প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্যালয়টির ব্যয়ভার বহন করেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মোঃ সওকাত আলী ফকির, মোঃ নুরুল ইসলাম ফকির, মুন্সী হায়াত আলী সহ আরো অনেক দাতা সদস্য। যার নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি জনাব মোঃ জোনাব আলী ফকির, তিনি নিজ হাতে ইট বহন করে বিদ্যালয়টির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পিছনে সকলেরই ছিল ইতি বাচক ধারনা। তাইতো অবশেষে সকলের প্রেরনায়, জনাব মোঃআলমগীর হোসেন এর অর্থায়নে ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জনগনের বহু দিনের লালায়িত ও আকাংখিত স্বপ্ন “বড়বাড়ীয়া জোনাব আলী ফকির মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়।“ স্বপ্ন যেন বাস্তবে রুপ নিল আলাদীনের কুপির গল্পের মতো । শুরুতে মাত্র কয়েকজন ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয়টির পদচারনা শুরু হয়। শিক্ষকতায় নিয়োগ পেলেন এক ঝাক দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক। তার আগে করা হল একটা সুদক্ষ কমিটি। জনাব মোঃ আলমগীর হোসেন কে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,জনাব নিত্যানন্দ সমাদ্দারকে সহসভাপতি এবংজনাব মোঃ সওকাত আলী ফকিরকে দাতা সদস্য করে একটা সুদক্ষ কমিটি করা হয়। যাদের সঠিক তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়টি হাটিহাটি পা পা করে আজ সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌছেছে। তখন প্রধান শিক্ষকের পদ অলংকৃত করেন গৌরী রানী বসূ। পালাক্রমে নন্দিতা, মোঃ আকমান হোসেন ,জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম ফকির দীর্ঘদিন যাবত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম ফকিরের মৃত্যুর পর ০৬,০১,২০০৬ খ্রীঃ তারিখে প্রধান শিক্ষকের আসনে আসীন হন অবনী মোহন বসু। বিদ্যালয়টি ০১/০১/১৯৯৫ খ্রীঃ তারিখে প্রথম স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। পরে০১/০১/২০০১ খ্রীঃ তারিখে স্বীকৃতি পায়। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় নিযুক্ত আছে এক ঝাক দক্ষ ও অভিজ্ঞ তরুন তরুনী যাদের কর্ম প্রচেষ্টা এবং তার সার্বিক বাস্তবায়নে বিদ্যালয়টি সাফল্যের দাবিদার । বিদ্যালয়টির কারনিক ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের কর্ম ততপরতা প্রসংশনীয়। বিদ্যালয়টিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি আছে বিনোদনসহ বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন। প্রতি বছর জে,এস,সি,ও এস,এস,সিতে ভাল ফলাফলের পাশাপাশি রয়েছে সন্তোষজনক পাসের হার। বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে ওয়ার্ল্ড ভিশন, বাংলাদেশ এর ভূমিকা অনস্বীকার্য । বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আসবাবপত্র প্রদানের পাশাপাশি গরিব ও মেধাবী ছাত্রীদের বিভিন্ন সুযোগ প্রদান যেন একটি জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত অনেক নিরিহ,শান্তিপ্রীয়,ধর্মভীরু আভিভাবক এখানে মেয়েকে নিরাপদে পাঠাতে পারেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। যারা বিভিন্ন সমস্যার কারনে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হত। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে শিক্ষার্থীরা যত্নের সাথে আপন পরিবেশে শিখতে পারে। কেননা এখানে রয়েছে এক ঝাক দক্ষ , আভিজ্ঞ ও আন্তরিক শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলী। যাদের কর্তব্যনিষ্ঠা ,কমিটির সুদক্ষ ব্যাবস্থাপনা এবং সঠিক প্রশাসনে বিদ্যালয়টি আজ অত্র থানায় একটা মডেল হয়ে দাড়িয়েছে।